একটি শব্দ, সারা জীবনের অর্জিত সম্পদ ‘অভাব’,

একটি শব্দ মর্সিয়া কান্না, নিঃশ্বের ক্ষুব্ধ জবাব।

একটি শব্দ সময়ের অপ্সরা ওরা দায়হীন চিত্ত—

মিছে চেঁচামেচি, কে বলে ওদেরই ধরার সব বিত্ত।

 

আমি চাই—ই পিষ্ট চেতনায় আসুক মহাবান,

গগন বিদারী চিৎকারে ফটো হোক, যত অসতর্ক কান।

দুর্গন্ধের শরীর মিশে যাক, রাজপথে রক্তাক্ত হয়ে,

ছিন্ন কাপড় উড়–ক বায়ে— মহানগরী কেঁপে উঠুক ভয়ে।

নিঃশব্দ লাইট পোষ্ট বাস্তুহারার মলিন যত থলে,

স্নানহীন উল্ ঝুলুল শরীরে চাই, যেন আগুন জ্বলে।

যার নাই কিছু, তার সব কিছু, নয় তো মৃত্যু হোক সাথী,

ওরে ভুখা বেশ্যা, কিসের ভয়, দেখিস আন্ধার রাতি?

 

হায়, আমার শিয়রে কেঁদে ওঠে অবুঝ শিশুপেট,

হাতে—ভাংগা শান্কী, পথে পথে ঘুড়ে শির করি হেট্।

ভাষা হারানো পাগল— মাথায় জটা বল কিসের তরে,

আদমের পিঠে চাবুক মারে, আদমেই টুটি চেপে ধরে।

বল্, কুত্তার বাচ্চারা, কেন, ধরণী রেখেছিস্ ভরে,

কেন ভূগিস্ এত! না খেয়ে পথে শুয়ে কাঁপিস্ জ্বরে?

সম্পদ হারিয়ে, হারিয়েছিস্ ওরে, বুকের তাবৎ বল,

তাই খাই, বাসীরুটি ডাষ্টবিনে আর ঠাঁই পিষ্ট পদতল।

পৃথিবীর পারিবে না কেউ, এক রতি ‘পরে তোলে তোরে,

সে পারে না কাড়ে ! লাথি মারে ভাগ্যের দোরগোড়ে।

আত্মার বাণী সত্য জানি, নাই তার কোনদিন ক্ষয়,

সেই হতভাগা নরাধম, চিরদিন যে ছোট হয়ে রয়।

কথিত বড়রা ঘুমন্ত সিংহের চোখে দেয় যে চোখে বালি,

ছানী পড়া চোখে, ঝাঁপসা দেখে জীবনে ঠকে যায় খালি।

স্রষ্টার জগতে এক সবাই, কে, নেবে বলো কার দান,

রক্ত চোখ উপড়ে ফেলে, তাই গড়িব মানবতার উত্থান।

 

তারিখ— ০১/০১/৯১— নবাবগঞ্জ, ঢাকা।