আকাশ আমার প্রাণ যুগ যুগ
ছিল শান্ত সরল স্থির,
সভ্যতার অন্ধকারে কালো মেঘ
করেছে আজ বজ্রর্ নিঘোর্ষ ভীড়।
মাতিয়াছি আজ নিষ্ঠুর ধ্বংস খেলায়
করেছি শপথ ছন্ন ছাড়া,
অত্যাচারী রবির প্রচন্ড কিরণে?
অবিরল ঝড় বৃষ্টির অশ্রধারা।
নাহি শুনি কারও কথা ঝড়—
ভেঙ্গে যাই বাড়ি ঘর সব,
আপনার বুকে শুনি, মেঘের ডাক
গুরু গুরু অট্টরোল রব।
কে আছিস হিম্মতওয়ালা আয়
দেখি সম্মুকে আমার আয়,
মনের তোলপাড়ে চিবিয়ে খাব
বিটব যত, না মানি যত সায়।
ভীম বেগে বহিছে নিঃশ্বাস আমার—
ঘূণীর্ হাওয়া শন্ শ্ন শন্,
দু’বাহু জড়িয়ে ধরি, উপড়ে ফেলি
কিয়ামত আমি আত্মহনন।
চোখ দিয়ে পড়ে তড়িতের রেখা,
ঠায় মেরে ফেলি প্রাণী যত,
কাঁপে থর থর দুর্বল চিত্তে, দেখে
আমার মারণ স্পৃহা বাড়ে তত।
না মানি ঈশ্বর ভাগ্য লেখা আজ
নিজ হাতে চালাই শিলের গুলি,
লাথি মারি অসহায়ের মুখে
ধূয়ে সাফ করি ভিক্ষার ঝুলি।
২৪/০২/১৯৮৮ টিকরপুর।