ভিসুভিয়াস আমিই; নিত্য জ্বলন্ত আমার লাভা,

এই মাঠ চৌচির উত্তাপে, কোথা উষার সোনালি আভা?

নির্মল শান্তির বিছানায় শুয়ে কেন, নরসিংহ আজ,

আত্মগত স্বাধীন উচ্চারণ কোথা, ন্যায় দন্ড প্রতাপরাজ—?

লক্ষ শহীদ প্রদীপ নির্বাপিত; দুঃসহ যন্ত্রণায় দেশ মাতা,

ঐ দেখ্ খুনী সব বেঁধেছে দল, সেনাপতি বেহায়া শুয়োর যা—তা।

নহে, নেতা নহে, গণ মানস, কোথাকার এই মূঢ় ভঁূইফোর,

বসেছে ঘাড়ে ঝাঁকিয়া, আজ শুনি দেশে বেহুলা কান্না সুর।

আমরণ অনশন, পাতিয়াছি দরগায় হাত, সে মানুষ আমি নই,

নিঘার্ত দলি অন্যায়, ‘৭১ মুক্তিযুদ্ধ দলিলে দিয়াছি সই

সন্ধ্যা প্রদীপ নিভিয়াছে ভয়ে, গাহে নাই দোয়েল গান,

শীতের সকালে চৈত্র দাহ, দ্রুম, দ্রুম শুনিয়াছে কত কান।

তাজা রক্তে ভরিয়াছে উঠোন, বৃদ্ধের বুকে কিয়ামত,

শৃঙ্খল হাতে ত্যাজিয়াছে সব, এই নারী! বিধাতার নিয়ামত।

এতসব ভুলে চেতনার মগজ খুলে, সর্বহারা বীর আমি,

থাকি নিশ্চুপ, বিজয় গর্বিত চর্মসার, পথচলা থামি।

প্রজন্ম যত হোক না বদল, বাঙ্গালীর রক্ত ঋণ,

গর্জে উঠিবে ধরা কাঁপিয়ে, কে, বলে অধিকার সোনার হরিণ?

না, না, কে, কে— বলে নিবোর্ধ, দেখ্ না বিশ্বে চেয়ে,

দ্রোহ —থেকে আজ শান্তি এসেছে, রক্ত সাগর বেয়ে।

 

মোনাফেক সব চিবিয়ে খাবে, প্রস্তুত এই ব্যাঘ্র দাঁত,

ডাষ্টবিন সব রেখেছি খালি, ভেঙ্গে ফেল্, কালো হাত—আঁতাত।

শক্তিধর ঐ গণদাবী, চিহ্নিত কর্ যত রঙ্গিন মুখোশ,

তোর আত্মার চিৎকার শোন্, আসিয়াছে মুক্তির যুগ—পুরুষ।

 

তারিখ—০৩/০৩/৯০—দঃ ধনিয়া (পাটের বাগ), ঢাকা।