না—না—না—না আমি আর সইব না, না সইব না,

প্রতিদিন ভিক্ষা করুণা আঁজল ভরে আর লইব না।

রক্ত সাগরে উঠেছে তুফান ভাঙ্গতে চায়, চায়,

মালিক শ্রমিক ভেদাভেদ ঘর যুগ যুগের অন্যায়।

আমার ঘামে ওরা স্মান করে আমার বপুর তাপে,

ওরা সুখে থাকে মরি আমি ক্ষুধার অন্ন শাপে।

বেকারের মাঠ চৌচির, গাত্রদাহ, নেই মোটে ছাতা,

ওরা থাকে গদির বিছানায়, পাই না আমি ছেঁড়া কাঁথা।

গাড়ী বাড়ি সব ওদের—থাকি আমি শশী নিচে চেলাঘরে,

কুয়াশার চাদরে মুড়ি দিয়ে সর্দি জ্বরে কাঁপি পরে।

বিধাতা, কোথা বিধান, নেই বাঁচিবার একটু ঠাঁই,

ঐ দেখ আসছে দুশ্চিন্তার হারিকেন, করি সাঁই সাঁই।

দুর্জয় সাহস নিয়ে আয় তোরা, শান্তির পতাকা তলে,

মীর জাফরের বুকে শেল ছুেঁড়, যে সব বর্জোয়া দলে—

করে সহবাস যুগে যুগে এরা জন্ম দেয়, সব অবিচার,

ওরাই নব নব রূপে কৌলিন্য কূপে ঘাড়ে চাপে সবার।

ভয় যদি পাস্ আমার মাথা খা‘স তবে, তবে আর,

জন্মেছি মরিব সিংহের মত গর্জন দিয়ে বার বার।

 

৩০/০৪/১৯৮৮, কাঁচপুর, সোনারগাঁও।