আমার ভীষণ ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে
লিখি, একটি কবিতা লিখি,
যে কবিতা আর কোন দিকে নয়,
এ নহে সাধ— বাঁচাটা করিব ছন্দময়,
ক্ষুধার দাহনে মরি আর অবশেষে হায়—
উঁচু—নিচু দুনিয়াকে শিখি।
টাকার পাশা খেলায় হেরে যাই,
ভাবি, আমার স্বার্থ ভাবি কাজ নাই,
ওদিকে কারা লুটে পুটে খায় যেন
তাবৎ জল সম্পদ, নদী বুকে,
পাটায় মরিচ পিষে আমাকে আর,
আমি চেয়ে থাকি মুখের দিকে তার—
বাঁচার অধিকার হারা দুর্বল, লাথি
খেয়ে পাথরে মাথা ঠুকে।
বল্, এমনি করে আর কতদিন চল্বে,
বরফ হয়ে হিমাদ্রি শিখরে শুধু গল্বে,
ক্ষেপে যা ক্ষ্যাপারা কে, রে বড়লোক—
ভঁুই ফোড় বদমাশ, হর্তাকর্তা,
ভেঙ্গে ফেল্, জুলুমবাজের দালান ঘর,
নির্ভয়ে শুরু কর্ মিথ্যেবাদী ধড় পাকড়
দেশব্যাপি হোক সততা চর্চা,
যার পাপ তার ঘাড়ে বর্তা।
দেখ্ ইতিহাস কী বলে তোরে,
ক্ষমা করে নি, কেউ কোন অসুরে—
যুবক, দেখ্ তোর সবল শরীর চেয়ে—
নাকি তুই দুর্বল হাড্ডি সার,
হতাশার মাঠে তোরে ফেলে আজ,
ধান সব, নিয়ে যায় ক্লীব রঙবাজ,
চেতনার হিমায়ন তোর শোভা পায়?
ওরে মুক্তি পাগল বাছা আমার।
দশ কোটি গরীব দুঃখী এক জোট,
চাই সাম্যবাদ, স্বদেশে গণভোট,
পরাশক্তি, করেছে দুনিয়ার ক্ষতি
আমার প্রিয় পূণ্য জম্মভূমি,
গরীব থাকা ভাল, ভাল নয় চামচাগিরি,
বেন্সন ভাল নয়, ভাল স্বদেশী বিড়ি—
চাই কর্ণধার লইবে যে, শাসন ভার—
দেশ মাতৃকার পদ চুমি।
তারিখ—১৩/০৩/৮৯— ফতুল্ল¬া, সৈয়দপুর।