মহান অক্টোব্বর, আমি স্বাধীনতা, আমি চির ঋণ,
অন্যায়ের বুকে বাজাই ডামাডোল, এই আমি, চিরদিন।
নাই স্বস্তি ফেলি না নিঃশ্বাস, চির সন্ন্যাসী বাউল,
আমি ক্ষুধার্তের মুখে ঠেলে দেই, বিশ্বের যত চাউল।
আমাকে ভয় পায় দুনিয়ার সব,
তরঙ্গ ফেণা আমি, কল্লে¬াল কলরব,
মানি না আমি সন্ধি, জানি না আপোষ, চির বন্যা,
আমি শ্রাবণের বারিধারা, পাহাড় থেকে নামা ঝরণা।
কোথা আমার কাম্যতা, কবিতা, সাধ, সাধনা,
উদ্ভ্রান্ত আমি, মানবতা রক্ষা করি পাগলামী যাচ্ঞা,
আমি ঝগড়াটে, বড্ড বদ্মেজাজী
আবার প্রেমিক আমি বড্ড পাঁজি।
হিংসুটে আমি, স্বার্থপর সূর্য আমি, পশু সেরা কেশরাজ,
শান্ত দরিয়ায় তুলি ঢেউ, আমি যুদ্ধরব সাজ, সাজ।
অভিমান আমার হাতিয়ার, বিদ্রোহী নজরুল, সুকান্ত,
আমি হিটলার, চেঁঙ্গিস খা, আমি তৈমুর, হিম হোক ভ্রান্ত।
দুনিয়ার সব জালিয়াত হুঁশিয়ার,
ওরে পিশাচ তোর রক্ষা নািই আর।
ফেলিয়া আসি অতীত, শক্তিধর আলোড়ন আমি,
বাঁধা পড়ি না কোথাও, চঞ্চল স্রোত, পৃথিবীর মুক্তিকামী।
বিশাল মেঘের বিদ্যুৎ আমি, উত্তাপ অরুণ,
গলা টিপে মারি আমি, দেখি উন্মাদ, যত দুর্বল তরুন।
শৈশব কৈশোর আমি, চির যুবক ধরায়, বারবার আসি,
ইচ্ছে হয়, পথ করি গিরি কেটে, আঘাত পেয়ে হাসি।
হু হু টর্নেডো হেরিকেন অতুল,
পৃথিবীর নাই কিছু মোর সমতুল,
ধনীকে ভ্রকুটি মারি, হিংসা করি যত দেখি দেওলিয়া,
কে কোথা কোন জনমে আসে, যত সব, পাষন্ড হিয়া।
আমি মহান স্রষ্টার রূপে নিজেকে হারিয়ে, দেখি অন্যের রূপ,
মরিয়া হই অমর, নিজের কবর রচি, দিই অপর কবরে ধুপ্।
তারিখ—১৪/১১/৮৮—দিঘীর পাড়, নবাবগঞ্জ, ঢাকা।